হঠাৎ এক নতুন পথের স্বপ্ন
দেখছিলাম, সপ্তপদীর রিনা ব্রাউন
বাইক চালিয়ে গাইছে, 'এই পথ যদি
না শেষ হয়', আর তার পিছনে
বসে লা লা লা করছে কৃষ্ণেন্দু,
শোলে সিনেমার বাসন্তী কে দেখলাম
বাইক চালাতে, পাশে বসে মাউথ অর্গান
বাজাচ্ছে রাধা, মহানন্দে গাইছে ওরা,
'য়ে দোস্তি, হাম নহি তোরেঙ্গে'
দেখলাম আরাধনা সিনেমার
ফ্লাইট কমান্ডার বন্দনা ত্রিপাঠি
নামছে প্লেন থেকে, আবার বাইক
চালিয়ে যাচ্ছে বান্ধবীর সাথে গান
গাইতে গাইতে, 'মেরে সপ্নো কে রাজা
কব আয়েগা তু' আর টয় ট্রেনে বসে
গল্পের বই পড়ছে সুরাজ প্রসাদ সাক্সেনা,
কালাপথ্যর সিনেমার সুধা সেনকে
দেখলাম মার্চেন্ট নেভি ক্যাপ্টেন,
আর বিজয় পাল সিংহকে ডাক্তার
হিসেবে ...
ঘরে বাইরে নিখিলেশ, বিমলা, সন্দীপ
এরাও কেমন যেন পাল্টে গিয়ে অন্য
পথে হাঁটছে, যেখানে বিমলা অক্লেশে
বেরিয়ে আসছে চার দেয়ালের গন্ডি
থেকে...
চলচ্চিত্রে র জগৎ থেকে ঢুকলাম
সাহিত্যের জগতে, সেখানেও এক অন্য
চিত্র, সবাই সমানে সমানে চলেছে,
রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্র,
বিদ্যাসাগর, রামমোহন, আশাপূর্ণা দেবী,
রামকৃষ্ণ, শ্রীমা, রানী রাসমণিকে
দেখলাম একই পথে একসাথে হাঁটতে,
স্বপ্ন দেখার এই মজা,
তারা ফেলে আসা বেদনাশ্রু ভরা
দিনগুলির কথা আর বলছেন না,
সতীদাহ, বিধবা বিবাহ যেন অপ্রাসঙ্গিক
হয়ে গেছে, তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের
পর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে হাঁটছেন...
অধ্যাত্ম জগতের দৃষ্টিভঙ্গিও যেন
পাল্টেছে, রমণীকে আর ডিস্ট্রাক্শন
হিসেবে দেখা হচ্ছেনা, তারা সবাই এখন
কাঁধে কাঁধ রেখে চলছে, চিত্রাঙ্গদার মত...
ঘুম ভেঙে গেল, উঠে চোখে জলের ঝাপ্টা
দিয়ে দেখলাম স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে,
আবৃত্তি করে উঠলাম জীবনানন্দ-র
বনলতা সেন, 'হাজার বছর ধরে আমি
পথ হাঁটিতেছি', ধূসর অন্ধকার পথের
শেষ বুঝি এইখানেই, ক্লান্ত পথিকরা
নতুন উদ্যমে এবার হাঁটবে এক নতুন
পথে, একসাথে, সব কাজে, সর্ব স্থানে
নারী পুরুষের সম্মিলিত জয় গানে...
চোখের সামনে এই সত্যটাকে
দেখেও ডে ড্রীমিং মনে হচ্ছে কেন?
এত সাফল্যের মধ্যেও যেন বুঝতে
পারছি আরো চলতে হবে, এখানেই
থেমে থাকলে চলবে না, অনেক পথ
চলা বুঝি বাকি আছে, এক নতুন
সকালে যদি কখন ভাঙে ঘুম,
জাগবো আমরা সকলে...
এই পথ চলাতেই আনন্দ। থামলেই সব শেষ
ReplyDeleteহ্যাঁ, ঠিক তাই। ধন্যবাদ।
Delete