সবাই একই
গাছের শাখা প্রশাখা।
বিভিন্ন ডালপালা, একে অন্যের
সাথে
দেখা সাক্ষাৎ হয়না ঠিক-ই,
কিন্তু উৎস
সবার এক।
এই ভালোবাসা-র জল যদি পায়,
তাহলে গাছটা বাঁচে।
সবাই একই
গাছের শাখা প্রশাখা।
কেউ গাছের ডাল ধরে ঝুলছে, কেউ
ফল, ফুল পাড়ছে, কেউ বা গাছের
ছায়ায় নীচে বসে
আছে।
নানানরকম খেলা খেলছে, কেউ
ইকির মিকির, কেউ শাপ লুডো,
কেউ দাবা, কেউ বা ক্রিকেট,
ফুটবল, কেউ
রান্নাবাটি; কোন
খেলাটা ভালো, কোনটা মন্দ তা
বিচার না করে সবাই যদি
একে অন্যের ভরসা-র,
সুখদুঃখের সাথী হয়,
তাহলে গাছটা বাঁচে।
সবাই একই
গাছের শাখা প্রশাখা।
কেউ শরীর চর্চা করছে, কেউ
বলছে হাঁটু ব্যথা, মাথা ব্যথা,
অম্বল; কেউ মেধাবী, জীবনে সফল,
কেউ সবেতেই অকৃতকার্য,
সবাই সবার মত
করে পাতায় পাতায়
নিজেদের গল্প
লিখছে, বিচার না করে
স্বীকার করে একে
অন্যের ভরসা-র,
সুখদুঃখের সাথী
যদি হয়,
তাহলে গাছটা
বাঁচে।
সবাই একই
গাছের শাখা প্রশাখা।
এক গাছের সাথে
জড়িয়ে থাকার
আনন্দে সবাই মেতে
থাকুক, তাদের
মতন করে, কেউ চায় ফুল, ফল, কেউ
তলায় বসে চড়ুইভাতি
করতে চায়,
কেউ বা শুধু একটু
ছায়া চায়। একটু
শান্তি চায়, খোলা আকাশে, আমাদের
এই গাছটির কাছে
সবরকম ভাবেই
থাকার অবকাশ আছে। এখানে
কেউ অনর্গল কথা বলছে, কেউ চুপ
করে বসে আছে, কেউ যাচ্ছে আর
আসছে, যে যেমনভাবে থাকতে চায়
সে তেমন ভাবে যদি থাকে,
তাহলে গাছটা বাঁচে।
সবাই একই গাছের শাখা প্রশাখা।
এই চিন্তা-টা মনের মধ্যে বারবার
একটা বীজে-র মতন বপন করতে
হবে। আমরা নিজেদের বিস্তার করতে
গিয়ে যেন বিচ্ছিন্ন না হয়ে যাই, আমরা
যে একে অন্যের পরিপূরক, একে
অন্যের প্রতি নির্ভরশীল এই কথা-টা
যদি মনের মধ্যে গাঁথি,
তাহলে গাছটা বাঁচে।
শুধু গাছটিকে ভালোবেসো সব,
এ যে আমার, তোমার, সবার
সাধের গাছ, কালিদাসের মত
নিজের গাছের ডাল কেটে ফেলো
না। আমরা যদি সবাই হাতে হাতে
নিজের মতন করে এক-ই উৎস-কে
উৎসবের মত নিত্য জীবন-স্বরূপ জল
দিয়ে যাই, তাহলে গাছটা বাঁচে।
চমৎকার লিখেছেন।মুস্কিল হয়েছে সবাই ভাবছে "আমি ব্যক্তি, সমাজ থেকে প্রকৃতি থেকে আলাদা।আমার আর কাউকে প্রয়োজন নেই।" তাই কোকোনাট ওয়াটারে নেই প্রয়োজন,কোকাকোলাই যথেষ্ট।
ReplyDeleteচারপাশে নানা কৃত্রিম বস্তুপুন্জের মাঝে বসবাস করে আমরা মানুষ যে আসলে প্রকৃতির অংশ- সেটা ভুলে থাকতে ভালবাসি।
খুব সঠিক বলেছ, অপূর্ব। তোমার ইতিবাচক মন্তব্য-র জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ReplyDelete