শাংখ্যযোগ সংখ্যার শঙ্খ 
বাজায় না, কর্মফলের ভারের থেকে 
করে ভক্তকে মুক্ত। 
চব্বিশটি উপাদানে তৈরী এই বস্তু 
জগতের সাথে করায় পরিচত।    
পঞ্চগুণ, যথা শব্দ, গন্ধ, স্পর্শ, রং
ও স্বাদ, পঞ্চতত্ত্ব, যথা পৃথিবী, জল, 
আগুন, বায়ু, আকাশ, পঞ্চকর্মেন্দ্রিয়,
যথা বাক্য, পদ, হস্ত, মলদ্বার, যৌনাঙ্গ, 
পাঁচটি জ্ঞানেন্দ্রিয়, যথা কান, নাক, চোখ, 
চামড়া, জিভ, তিন সুক্ষ সত্তা, যথা মন, 
বুদ্ধি, অহংকার, সবশেষে আছে দূষিত 
চেতনার ভার, যা ভগবানের থেকে আমাদের 
করে রাখে আলাদা, চিরকাল। 
এই বোধহয় একটি মাত্র যোগ যার
আস্তিক ও নাস্তিক ধারা আছে, কপিল মুনির 
নাস্তিক ব্যাখ্যা প্রকৃতির স্বতঃস্ফূর্ততার কথা 
বলে, আস্তিক ব্যাখ্যা প্রকৃতির মালিক রূপে,
ভক্তি দিয়ে নিয়ে আসে ঠাকুরের কোলে।
গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা তাই পাই 
শাংখ্যযোগের জ্ঞানের অসীম ধন,
ধনঞ্জয়কে বলছেন ঠাকুর কর্মফলের 
থেকে মুক্তির পথ, করে ঠাকুরের তরে 
সম্পূর্ণ সমর্পণ।  
No comments:
Post a Comment