আর কতদিন এরকম নিষ্ঠুরতা দেখতে হবে বাঙলার মানুষকে! ছোট ছোট ডাক্তার বন্ধুরা উপোস করছে, আপোষ করছে না।
সরকার তাদের কাছে একদিকে ছুটে যাচ্ছে না আর অন্যদিকে তাদের কারাগার রূদ্ধ করছে। এই না কি আমাদের মন্ত্রী! ইলেকশনে জিতে যিনি গান গেয়ে উঠেছিলেন, 'আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধূলার তরে। সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে'? তিনি তো অহংকারে আত্মহারা হয়েছেন, ভ্রষ্টাচারে, জর্জরিত হয়েছেন। যারা অপরাধী উনি তো প্রত্যক্ষে তাদেরই হয়ে বিচার চাইছেন! 'মা, মাটি, মানুষ', এই পবিত্র মনোভাব কলুষিত করেছেন।
স্বাস্হ্য দপ্তরের মুখোশ খোলার বদলে তাকে ঢাকা চাপা দিচ্ছেন। This audacity takes us back into Marx's Das Kapital, where it is clearly mentioned how power corrupts a leader, then an entire society.
এর থেকে কি সত্যিই আমাদের মুক্তি নেই?! এই সরকার কে উচ্ছেদ করে কী লাভ! বদলে যারা আসবেন তারা তো কেউই কম যান না!
মুল অর্থ হোলো টাকা! কত টাকা, যে যত পারো দেশসেবার নামে লুটেপুটে নাও। কেউ হিসেব চাইবে না।
বাঙলার মাটিতে জন্মেছিলেন রামমোহন, বিদ্যাসাগর, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র, জগদীশ চন্দ্র বসু, মেঘনাদ সাহা, এঁরা। জন্মেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র।
আধ্যাত্মিক জগতের সাধু নারীপুরুষেরা। চৈতন্য, রামকৃষ্ণ, মা সারদা, বিবেকানন্দ, এঁরা। এঁদের মধ্যেও ছিল অফুরন্ত শক্তি, কিন্তু এ স্বার্থ ত্যাগের শক্তি, যে শক্তি মার্ক্সের শক্তির মত ভ্রষ্টাচারের বুলেটে বিদ্ধ হয় না।
আমার ধারণা যদি ভুল না হয় তো এবার ডাক্তারদের সাথে সাথে হয়তো অনেক পুলিশরাও ইস্তফা দিতে শুরু করবেন। সরকারের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও গণ ইস্তফায় যোগদান করবেন।
কিন্তু নির্বাচন সর্বস্ব নির্বিকার সরকারের ঔদাসীন্য আরো কতক ফুটফুটে অনশনরত ডাক্তারদের মৃত্যুর কারণ হবে না তো।
আমরা শুধু দ্রষ্টা, তবে আমাদের হাতে অসীম ক্ষমতা, তাই এক ভুল ভোট দিয়ে আবার একটা ভুল করতে পারি। বছরের পর বছর আমরা সব্বাই এই ভুল করার ক্ষমতার ভুলভুলাইয়ার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছি। রাবণকে প্রতি বছর পুড়িয়েও শেষ করতে পারছি না। কারণ 'যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ'।
এ সবের জন্য দায়ী কে? বা কী? একদিকে রয়েছে অফুরন্ত টাকার ভান্ডার আর অন্যদিকে হচ্ছে অর্থ অপসারণ করার সুযোগ।
এ হেন ব্যবস্থার মধ্যেও মানুষ আশার আলো দেখতে চায়। কি করে!