Thursday, August 12, 2021

the dead script

sky at night
you touch the stars,
I sing a song of a dancing
soldier

his duty summoned him,
he became a comedian
in the opera

the audience wept
wars are spreading
the message of blood

the soldier is
singing of love

time is moonwalking
in the desolate space
the pre-written act
playing out the dead script

Wednesday, August 11, 2021

the lost rainbow

you left me
I felt deserted
for long

in winter,
my heart sensed
the heat of a 
sweltering summer
it hurt, fired my
ribs, my shoulders
for days and nights

then
there was this sudden
smell of petrichor,
a taste of salt in the eyes
withered in the rain
the downpour consumed
the tears,
left me thirsty

a year sat in my
lounge
ran into the old
books that knew
our long whispers,
our love-making songs

who is right who wrong,
who is weak who strong,
I had these juvenile rhyming
answer-less questions
trying to help, not tease
but they kept me entertained
like a floor show that comprised
dancing and striptease

I heard your steps
in the kitchen garden
the space was impatient
with the time that
baked a restless
silence
I was famished

on the double, I know
you'll never call me back
the papers,
cold letters had expelled
the crescent from the garden
the sun will never sleep
with the rain

I feel the same breeze
embracing me, the same
clouds caressing me,
the sun had the same glow,
the rain had the same charm,
oftentimes the two met

but there wasn’t a rainbow

Grief-stricken

O grief why would you
walk with me? Even when 
I am filled with jubilance,
why would you pick on me?

Woebegone to be a part of your
world. Yet, with each stroke of
glory, though I relish success,
withal in the middle of a
thunderous applaud, in the
background, I hear your
doleful whistle.

A golden garden with singing birds,
lovers meeting with an open heart,
your tune hums a pensive song,
a certain whisper of your stretch,
a whimper, the world will fall apart. 

Tuesday, August 10, 2021

দুঃখ দায়

জানি তুমি খুব দুঃখী
কিন্তু ওটা নিয়ে ব্যাবসা
করো না। 

রবি ঠাকুর দুঃখ পেয়ে
দুঃখ ঘুচাতে বলেছিলেন, 
দুঃখে নেশাগ্রস্ত থাকতে
বলেন নি। 

নিজের দুঃখজনক পরিস্থিতি-র
থেকে বড় হোক তোমার স্থিতি,
অপমান, লাঞ্ছনা, প্রতারণা,
প্রিয়জন তথা সন্তান-এর
অকাল মৃত্যু বড় ভয়াবহ,
কিন্তু এই দুঃখ-কে আঁকড়ে
রেখে তার মাদকতায় মেতে
থেকো না।  

মৃত বা জীবিত, অহেতুক কোন
মানুষের 
শরণাপন্ন হয়ে বাঁচতে চেও না।   

ঠাকুর-এ মনোযোগ দাও,
দিনরাত, রাতদিন-এর সাথী
একমাত্র সে,
একাধারে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ
চিকিৎসক, সদাহাস্য গুরু
আবার অন্যদিকে সে
প্রেমিক, সবসময়-এর বন্ধু,
তোমার সব প্রশ্নের উত্তর
দেবার জন্য সে বসে আছে। 

তার কাছে যাও, তারেই শুধাও
যা আছে জিজ্ঞাস্য, দ্বন্দ্ব,
অবিশ্বাসের মহাসাগর-এর
ওপার-এ
সে মাঝি-ই তোমায় করবে
পারাপার।
সেই অমৃত পান করবার যাত্রা,
সে যে এক পুণ্য অভিসার।

দুঃখ দায় ভীষণ দায়
দুঃখ পেয়ে বাণিজ্য নয় 
দুঃখ ঘুচাবার
কর প্রতিকার। 

মিনি আর হুলো










এপারে আমি মিনি, ওপারে হুলো তুমি 

মাঝে দুধ-টা বহে যে  !!!


নিজের দুধ-টুকু খাওয়া হয়ে গেছে, তা 

সত্ত্বেও পাহারা দিচ্ছে মিনি-টা, আর 

গেট-এর বাইরে ফ্যালফ্যাল করে হুলো-টা  

কেমন তাকিয়ে আছে দেখ, আহা 

ঠিক যেন ভেজা বেড়াল-টা।  

Saturday, August 7, 2021

স্তুতি


ছোটবেলায় প্রায়ই আমরা গরমের ছুটি কাটাতে ভাগলপুর যেতাম, মাসি-র বাড়ি।

একবার মা আমাদের, মানে আমার আর দাদা-র সাথে যেতে পারেনি, ট্রেনে চড়িয়ে দিয়েছিল, আর ওদিক থেকে  মেশো নামিয়ে নিয়েছিল। সেইবার-ই দুজন প্যাসেঞ্জার-কে ঠাকুরের স্তুতি করতে শুনেছিলাম, যা আজও আমার মনে আছে, আর থাকবেও সারা জীবন। 

একজন আরেকজনকে বলছেন:

তুমি ভাব, দিনের পর রাত হয় আর রাতের পর দিন, বছর তার নিয়ম মেনে চলে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরত, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত-এর হাত ধরে। ঠাকুরের কী লীলা ভাব! 

অপরজন উত্তরে বললেন, আবার ভেবে দেখ, কলকাতা থেকে ভাগলপুর যতটা দূর, ভাগলপুর থেকে কলকাতা ঠিক ততটাই দূর? 

এই বলে দুজনেই হাতজোড় করে বলে উঠেছিল, হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম, রাম রাম হরে হরে। 

সেদিন রাতে এই স্তুতি শুনে হাসতে হাসতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এ কী বোকামো, এ কিরকম পাগলের প্রলাপ? 

আজ অনেক বছর পর আমার ঘুম ভেঙেছে। এখন আমি যখন এই স্তুতি-র কথা মনে করি, আর হাসি পায়না। বুদ্ধি-র বিসর্জন দিয়ে পাগল না হলে, সব স্তুতি-ই বুঝি অর্থহীন। 

Friday, August 6, 2021

রক্ষক-ভক্ষক








আজ আমি এক আশ্চর্য স্বপ্ন
দেখে উঠলাম।


রক্ষক আর ভক্ষক-এর এমন
বিশ্লেষণ 
আগে কখনও অনুভব
করিনি।  


দেখলাম হিরণ্যকশিপু, বালি,
শিশুপালকংস, রাবণ এরা
আমার মধ্যে ঢুকছে আর
বেরোচ্ছে। 
তারা করজোড়ে তাদের
হত্যাকারীদের স্তুতি করছে। 


হিরণ্যকশিপু বলছে, হে প্রভু,
সবাই তোমার উগ্র মূর্তি দেখলো,
তুমি যে আমাকে কোলে তুলে 
নিলে, সেটা কেউ দেখল না?  
কেন?

আমার পবিত্র প্রাণ বদ্ধ হয়েছিল
এক অপবিত্র 
দেহে,  তুমি সযত্নে
তাকে মুক্ত করলে। 
তোমার চরণে শতসহস্র প্রণাম।

দেখলাম বালি আর তিরস্কার করছে
না 
বিষ্ণু-অবতার রাম-কে। 
দেখলাম কংস-কেশিশুপাল
আর রাবণ-কে। 


তাদের সম্মিলিত কণ্ঠ কৃতজ্ঞতায়
গেয়ে উঠছে

তুমি রক্ষক, তুমি-ই ভক্ষক প্রভু,
আমাদের সংহার করে আমাদের
উপকার করেছ
হে অনাথ-নাথ। 

তোমার হাতে আমাদের
মৃত্যু-বরণ
,
এ ত নয় সাধারণ।

...


আমি চমকে উঠে পড়লাম,
জল-এর জন্য হাত বাড়াতেই
মাটিতে কাঁচের গেলাস-টা

পড়ে ঝনঝন করে ভেঙে গেল,  
আমার এতকাল-এর অটূট
বিশ্বাস-এর মত। 


বুঝলাম আমার মধ্যে বাস
করছে কম-বেশি 
এনারা
সকলেই।
মনস্থ করলাম নিজে-কে 
আর বাঁচাব না কোনভাবে-ই,
কোনমতে-ই;
প্রতিদিন চলার পথে, অসংখ্য
মিথ্যে-কথা 
বলি, বিলাসিতা,
অহংকার-এর বলি হই
অসভ্য শিক্ষা-র ফলে। 

ক্রোধে-র বিষোদ্গার-এ ভরিয়ে
ফেলি অহেতুক 
আমার ভুবন,
অর্থহীন তর্কে, উচিত কথা-র
অছিলায় কুপিয়ে মারি বন্ধুত্ব,
সম্পর্ক;
হয় নিষ্ঠুর কথায় প্রকাশ করি,
নয়ত অশালীন চিন্তায় টুকরো
টুকরো করি আমার-ই মত
চেনা-পরিচিত 
মুখ-গুলি কে। 
ক্ষতবিক্ষত হয় আমার বাগান।

আমার মনে হল যেন আমি সমগ্র
মানবজাতির-ই প্রতিনিধিত্ব করছি।  

হে বিষ্ণু
, আমার ভিতর অবস্থান কর,
আমাকে সংহার কর, তীরবিদ্ধ কর,
ব্রহ্মাস্ত্রে পরাজিত না হলে, অগ্নিবাণ
নিক্ষেপ কর
, তারা যেন সর্পের মত
আমায় আক্রমণ করে, আমাকে
পরাস্ত করে
আমায় কর পরাজিত।

আমার থেকে সমস্ত বিকর্ম-গুলি
তোমার নখের 
জোরে উৎখাত কর। 

তুমি আমার রক্ষক, আমার ভক্ষক
হয়ে 
আমায় উদ্ধার কর। এইভাবে
আসুক চৈতন্য, 

আমার আর আমার পৃথিবীর।