পৃথিবীর বুকে জন্ম
তবু তার কোলে থাকা দায়
হিংসে বিদ্বেষ ভয়ে
ভরা আমাদের ধরা
মরছে বিভ্রান্ত মানুষ মুষ্টিমেয়
কয়েকজন মানুষের কাছে
ফল ফুল জীব তবু
বেঁচে আছে
বাঁচতে চাই, ঘর অন্ধকার
খোলা জানালা উন্মুক্ত দার
মোমবাতি জ্বালাই সত্য দেখব, শুনবো, উপলব্ধি করবো বলে
দমকা হাওয়া আসে
নিবতে দেবনা আলো হোক
না ঝড় আরও জমকালো
পাখিদের গান মনোরম বাগান,
তারই মাঝে আষ্টেপৃষ্ঠে বিশ্ববাসী
অহেতুক চক্রব্যুহ ভাঙ এ
আত্মহনন ভাঙ এ অশ্লীল কলহ
আমরা কয়েকজন আছি
এইতো এইখানে প্রদীপ জ্বলছে
অরুণ মিত্র পড়ছে
আমাদের অতি প্রিয়
চিন্ময় গুহ
মাথায় রুমাল বেঁধে
অপরূপ সুর বাজাচ্ছে
দেবজ্যোতি মিশ্র
শোপ্যাঁ, বেথোভেনের ধুন
একতারা তবলার তালে
কখনও স্নেহময়ী সুরে
কখনও বা নিদারুন তানে
করুন গুনগুন
অনবরত পিয়ানোর সাথে
বাঁশী, সানাইয়ের সাথে গিটার
বাজে পাশাপাশি
নেই কোন বাঁধ নেই এপার
ওপারের বেসুরো বিচার
শব্দে সুরে তালে সব
মিলে মিশে একাকার
শুধু মিললো না মানুষ
মানুষেরই সাথে অহরহ
কাটাকাটি করে ধরনীকে
ছিন্নভিন্ন করে চলে এক
ভয়াবহ শিক্ষিত ধ্বংসের
অনর্থক পথে
এই অনর্গল গরল গদ্যের
দুনিয়ায় কেবল সরল
সুমধুর সুর খুঁজি
মুষ্টিমেয় কয়েকজন অমৃত
কাব্যে, পুরাতন কিশলয়
কবিতায়
পৃথিবীর বুকে জন্মে
তার কোলে মাথা রেখে
হিংসে বিদ্বেষ হাতাহাতি
ভয় ভুলে কাব্য কবিতা
সুরের বলে এসো আঁকি এক
অপরূপ ভবন, আদরের
আঙিনা, স্বপ্নময় এক
উন্মুক্ত ভুবন
বর্বরতার মাঝে আমরা
যারা কজনে এখনও আছি
এসো নির্ভয়ে হাতে হাত
রেখে কাব্যে সুরে বাঁচি