আশার কালো
আমি হাঁঠছি …
কানায় কানায় কালো ভোরের ভয়ের আলো
কানায় কানায় কালো ভোরের ভয়ের আলো
আমি এবার হাঁটছি ছবি থেকে বেরিয়ে ৷ রাস্তা দিয়ে ৷
তখন সকাল হয়নি চারিদিক কালো ছিল ৷
প্রতিদিনের পরিচীত রাস্তা
তাই খানিকটা আন্দাজে খানিকটা দেখে দেখে
যতদূর পারি হাঁটছিলাম ৷
আস্তে আস্তে অনেক কিছু যেন শুনতে পাচ্ছি আমার চেনা পথে,
এতদিন যা রয়েছিল আমার কানের বাইরে ৷
আমি শুনিনি, বোধহয় কালোয় ঢুকিনি তাই ৷
একটু শীত করে উঠল একটা আলতো হাওয়ায় ৷
চারিদিক অন্ধকার, তবু জানি
আর কয়েক ক্ষণের মধ্যেই
আকাশ পরিস্কার করে আলো এসে ভর করবে ৷
গাছের পাতা, পাখির নড়াচড়া, চিপ্-চিপ্-চিচীপ ডাক,
দূধের চাকার আল্তো ক'রে চলার শব্দ,
ছোটখাট বাড়ির কল খোলার শব্দ
কানের বাইরে গাছের বীজের মত উড়ে বেড়াচ্ছে
আন্দাজ করতে পারছি –
সকাল হবার শব্দ আমি শুনছি আর হাঁটছি ৷
প্রতিদিনের পরিচীত রাস্তা
তাই খানিকটা আন্দাজে খানিকটা দেখে দেখে
যতদূর পারি হাঁটছিলাম ৷
আস্তে আস্তে অনেক কিছু যেন শুনতে পাচ্ছি আমার চেনা পথে,
এতদিন যা রয়েছিল আমার কানের বাইরে ৷
আমি শুনিনি, বোধহয় কালোয় ঢুকিনি তাই ৷
একটু শীত করে উঠল একটা আলতো হাওয়ায় ৷
চারিদিক অন্ধকার, তবু জানি
আর কয়েক ক্ষণের মধ্যেই
আকাশ পরিস্কার করে আলো এসে ভর করবে ৷
গাছের পাতা, পাখির নড়াচড়া, চিপ্-চিপ্-চিচীপ ডাক,
দূধের চাকার আল্তো ক'রে চলার শব্দ,
ছোটখাট বাড়ির কল খোলার শব্দ
কানের বাইরে গাছের বীজের মত উড়ে বেড়াচ্ছে
আন্দাজ করতে পারছি –
সকাল হবার শব্দ আমি শুনছি আর হাঁটছি ৷
হঠাৎ কালো নিমেশের মধ্যে ধূসর হয়েই
ফরসা হয়ে গেল মুহূর্তে ৷
ব্যাস ৷
চললো গাড়িঘোড়া অনলস অনর্গল ৷
শুরু হল কিছুক্ষণ আগে শুরু হওয়া জীবনের ছন্দ ৷
আমি এখন অনেক সাবধানে হাঁটছি, অনেক মন দিয়ে শুনছি ৷
সবাই কথা বলছে, কিন্তু কেউই যেন ঠিক শুনছে না ৷
অগনিত যন্ত্রর দিকে অবাক দ্রিষ্টিতে চেয়ে থাকা মানুষ
লাভক্ষতির কথা, অসুখ বিসুখের কথা বলছে,
কেউবা রক্তাক্ত কাগজের দিকে তাকিয়ে
এক অদ্ভুত ভাষায় কথা বলছে – কিন্তু সবাই বলছে ৷
কেউ আবার কার সাথে কথা বললে কতটা লাভ হবে সেটা বুঝে নিচ্ছে ৷
সকাল হবার আগে যখন মানুষেরা ঘুমিয়ে ছিল,
তখন তারা যেন অনেক সহজ, অনেক সচেতন ছিল,
অনেক জীবন্ত ছিল!
আমি হাঁটছি ৷
আমার চারিদিকের জিনিষ গুলো আমার মনে দ্বন্দ্বের শাঁখ বাজাচ্ছে ৷
কি শুনবো বা দেখবো বুঝতে পারছি না ৷ সুর্যের আলোতে
আন্দাজ অনুমানের অবকাশ নেই, তার ওপর যা নির্দেশ তাই দেখতে হবে ৷
গুলিয়ে গিয়ে আমার চোখ হল কালা, আর কান হল কানা ৷
আমি ভয়ে নাকানি চোবানি খেয়ে, ঘেমে নেয়ে হাবুডুবু খাচছি জীবনের মরুভূমিতে ৷
আমি হাঁটছি, হাঁটতে হবে তাই ৷
তবে এবার আমার সাথে আছে বিভীন্য স্তরের শতসংখ মানুষ ৷
সবার মুখেবুকে একই মন্ত্র, আর দাও আর দাও দাউ দাউ করছে
স্পষ্ট হলুদ আলোয় ৷
সভ্য মাপা অঙ্ক কার সাথে কতটা তফাৎ সঠিক ভাবে দেখাচ্ছে ৷
8.5 আর 8.3705 কত আলাদা এই বলছে ৷
যদি বলি একই ত, খানিকটা জল দিয়ে মিলিয়ে দিলেই ত হয়,
তাহলে তা ত মহৎ অসৎ হয়ে যায় ৷
যদি বলি তা এক নয়, তাহলে নিশ্চিন্তি ৷
তাই বলছি ৷
এই হল দেখাশোনার মুশকিল, আলোর হলাহল ৷
অন্ধকারে কিছু কারচুপি হয় ঠিকই, তবে যুদ্ধ থেমে যায়,
হবে কি করে কোন সীমান্তই যে দেখা যায়না, সবই ত এক মনে হয় ৷
তাই 8.5 আর 8.3705 ঘাপটি মেরে
আলোর অপেক্ষায় থাকে আবার ক'রে যুদ্ধ করার জন্য ৷
মাপা কথা, মাপা হাঁসি মাপা ফারাক
আমাদের কিন্তু মনে করিয়ে দেয় যে
“আমরা চিত্র, অতি বিচীত্র, অতি বিশুদ্ধ, অতি পবিত্র”,
তবে আলোর মধ্যে নয়, যেখানে আলোর প্রবেশ নেই, সেখানে ৷
আমরা ব্যাস্ত, অতি বিদ্ধস্ত, অতি বিরক্ত, অতি বিভ্রান্ত আলোর মধ্যে ৷
...
কিন্তু আমরা যখন সন্ধে বেলায়, বাড়িতে ফিরে
কেউ সোফায় বসে, কেউ মেঝেতে পা ছড়িয়ে,
কেউ বিছানায় এলিয়ে চা খেতে খেতে আঃ বলি,
তখন আমরা আর সেই আমরা থাকিনা ৷
তখন নরম হয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে
অনুমান, আন্দাজ করার সময় পাই ৷
আমি হাঁটছি ৷
বড়দিন শেষ হল, বাঁচা গেল,
এবার বোধের গন্ধ বেয়ে
একটা স্বাভাবিক চিত্র ধরা দিতে পারে ৷
ফরসা হয়ে গেল মুহূর্তে ৷
ব্যাস ৷
চললো গাড়িঘোড়া অনলস অনর্গল ৷
শুরু হল কিছুক্ষণ আগে শুরু হওয়া জীবনের ছন্দ ৷
আমি এখন অনেক সাবধানে হাঁটছি, অনেক মন দিয়ে শুনছি ৷
সবাই কথা বলছে, কিন্তু কেউই যেন ঠিক শুনছে না ৷
অগনিত যন্ত্রর দিকে অবাক দ্রিষ্টিতে চেয়ে থাকা মানুষ
লাভক্ষতির কথা, অসুখ বিসুখের কথা বলছে,
কেউবা রক্তাক্ত কাগজের দিকে তাকিয়ে
এক অদ্ভুত ভাষায় কথা বলছে – কিন্তু সবাই বলছে ৷
কেউ আবার কার সাথে কথা বললে কতটা লাভ হবে সেটা বুঝে নিচ্ছে ৷
সকাল হবার আগে যখন মানুষেরা ঘুমিয়ে ছিল,
তখন তারা যেন অনেক সহজ, অনেক সচেতন ছিল,
অনেক জীবন্ত ছিল!
আমি হাঁটছি ৷
আমার চারিদিকের জিনিষ গুলো আমার মনে দ্বন্দ্বের শাঁখ বাজাচ্ছে ৷
কি শুনবো বা দেখবো বুঝতে পারছি না ৷ সুর্যের আলোতে
আন্দাজ অনুমানের অবকাশ নেই, তার ওপর যা নির্দেশ তাই দেখতে হবে ৷
গুলিয়ে গিয়ে আমার চোখ হল কালা, আর কান হল কানা ৷
আমি ভয়ে নাকানি চোবানি খেয়ে, ঘেমে নেয়ে হাবুডুবু খাচছি জীবনের মরুভূমিতে ৷
আমি হাঁটছি, হাঁটতে হবে তাই ৷
তবে এবার আমার সাথে আছে বিভীন্য স্তরের শতসংখ মানুষ ৷
সবার মুখেবুকে একই মন্ত্র, আর দাও আর দাও দাউ দাউ করছে
স্পষ্ট হলুদ আলোয় ৷
সভ্য মাপা অঙ্ক কার সাথে কতটা তফাৎ সঠিক ভাবে দেখাচ্ছে ৷
8.5 আর 8.3705 কত আলাদা এই বলছে ৷
যদি বলি একই ত, খানিকটা জল দিয়ে মিলিয়ে দিলেই ত হয়,
তাহলে তা ত মহৎ অসৎ হয়ে যায় ৷
যদি বলি তা এক নয়, তাহলে নিশ্চিন্তি ৷
তাই বলছি ৷
এই হল দেখাশোনার মুশকিল, আলোর হলাহল ৷
অন্ধকারে কিছু কারচুপি হয় ঠিকই, তবে যুদ্ধ থেমে যায়,
হবে কি করে কোন সীমান্তই যে দেখা যায়না, সবই ত এক মনে হয় ৷
তাই 8.5 আর 8.3705 ঘাপটি মেরে
আলোর অপেক্ষায় থাকে আবার ক'রে যুদ্ধ করার জন্য ৷
মাপা কথা, মাপা হাঁসি মাপা ফারাক
আমাদের কিন্তু মনে করিয়ে দেয় যে
“আমরা চিত্র, অতি বিচীত্র, অতি বিশুদ্ধ, অতি পবিত্র”,
তবে আলোর মধ্যে নয়, যেখানে আলোর প্রবেশ নেই, সেখানে ৷
আমরা ব্যাস্ত, অতি বিদ্ধস্ত, অতি বিরক্ত, অতি বিভ্রান্ত আলোর মধ্যে ৷
...
কিন্তু আমরা যখন সন্ধে বেলায়, বাড়িতে ফিরে
কেউ সোফায় বসে, কেউ মেঝেতে পা ছড়িয়ে,
কেউ বিছানায় এলিয়ে চা খেতে খেতে আঃ বলি,
তখন আমরা আর সেই আমরা থাকিনা ৷
তখন নরম হয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে
অনুমান, আন্দাজ করার সময় পাই ৷
আমি হাঁটছি ৷
বড়দিন শেষ হল, বাঁচা গেল,
এবার বোধের গন্ধ বেয়ে
একটা স্বাভাবিক চিত্র ধরা দিতে পারে ৷
এখন কাল রাত ৷
তবে বিকেলের ঠিক পরের,
না ভোরের ঠিক আগের বোঝার উপায় নেই ৷
আন্দাজ অনুমানের ওপর ভরসা ক’রে ছবির থেকে বেরিয়ে
আমি হাঁঠছি …
তবে বিকেলের ঠিক পরের,
না ভোরের ঠিক আগের বোঝার উপায় নেই ৷
আন্দাজ অনুমানের ওপর ভরসা ক’রে ছবির থেকে বেরিয়ে
আমি হাঁঠছি …