তোমার মুখ, তোমার কথা
যেমন ইচ্ছে ব্যবহার করো
কিন্তু তাই সত্য এমন ভেবো না।
কৃষ্ণ কে না জেনে তার
সম্পর্কে গান লেখার অধিকার
তোমার আছে।
অনেক টাকা রোজগার করবে,
আরও অনেক ফেমাস হবে,
পপুলার হবে,
কিন্তু কৃষ্ণ তোমার বাইরেই
থেকে যাবে।
কৃষ্ণ যে তোমার ভিতরে বসে আছে
তার তুমি হদিস পাবে না।
নিজের ভিতরে কৃষ্ণ যেদিন জাগবে,
দেখবে বাইরেও হাহাকার অন্ধকার
অনাহার অবিচার থেমেছে।
না জেনেই কৃষ্ণ নিয়ে গান বেঁধে
নাচানাচি, মাতামাতি করো না
যদিও তার অধিকার তোমার আছে।
তোমার এই গান নিয়ে সবার
ঐ হৈ হৈ এর মধ্যে দিয়ে আরও
অভাব, অনটন, আমাদের গিলে খাবে।
গানের ভিডিও তে সবাইকে দেখিয়ে
জনৈক ছোট ছেলেকে একটা বিস্কুট
ভিক্ষা দিয়ে কারুর কোনো অভাব
মিটবে না।
যতই দীর্ঘশ্বাস কৃষ্ণ-র থেকে ভালো
বাঁশি বাজাক না কেন, তাদের দীর্ঘশ্বাস
উধাও করার ক্ষমতা একমাত্র কৃষ্ণ-র
কাছেই আছে।
তোমার গানে দেয়ালে লেখা
মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মত
পবিত্র গীতার বাণী
'সম্ভবামি যুগে যুগে'
জ্বলজ্বল করছে
ঔদ্ধত্য নয়, তোমার গানে
আর্তনাদ জাগুক
শঙ্করাচার্যের
'ভজ গোবিনদং মূঢ়মতে'র
ভক্তি জাগুক,
তাহলে সত্যিই সবাই খুঁজে পাবে
বৃন্দাবন
যেমন সে যুগের বাসিন্দারা পেয়েছিল।