আমি যখন ছোট, তখন
দেখেছি, বাড়ির দরজার
সামনে চটি আর জুতোর
ভিড়, বাড়িটা গমগম করত।
এখন কলিং বেলটা প্রায়
অকেজো, ওটা বাজিয়ে যে
কোন কাজ হয়, চাবি খুলে
ঢুকতে ঢুকতে সেটা ভুলেই
গেছি। ওয়েলকাম লেখা
পাপসটা ফ্যালফ্যাল করে
চেয়েই থাকে।
এ একাকিত্বের প্যান্ডেমিক,
ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে,
সহজে সারবেনা, এই ভেবে
একটা ছোট্ট বাগান করলাম,
আস্তে আস্তে নতুন অতিথিরা
আসতে আরম্ভ করলো, আমার
কলিং বেল-এর সুর পাল্টালো,
রকমারি পাখির কিচিরমিচির
ত আছেই, তার সাথে
ম্যাঁও-ম্যাঁও, ভৌ-ভৌ, এমনকি
হাম্বা-হাম্বাও আছে।
না, এরা কেউ চটি-জুতো পড়ে
আসেনা, খালি পায়ে আসে,
তাই পাপসের ওপর না, মনের
মধ্যে একটা ছাপ রেখে যায়।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মানুষ সত্যিই একলা,পশুপাখিরাই এই একাকিত্বের সঙ্গী হয়ে উঠেছে । তারা অজান্তে কত অনাবিল আনন্দদান করে।
ReplyDeleteখুব সুন্দর বলেছো। ধন্যবাদ।
Deleteঅনেক দিন পর একটা ভালো লেখা পড়লাম, ছন্দ বা শব্দের জাল না বুনে , অন্তরের অনুভূতি দিয়ে লেখা লাগলো আমার। আরো ও সুন্দর হোক তোমার লেখা
ReplyDeleteঅশেষ ধন্যবাদ। তোমার মন্তব্যটা মনে রেখে আগামী লেখাগুলি লিখব।
Delete