Sunday, April 16, 2017

লেখক

লেখক

নতুনের মাঝে আমি এক অতি পূরাতন লেখক
সারাদিন পাতার সাথেই করি বকবক
বিড়ি সিগারেট ছাইপাস খাই
রি খকখক
যেদিকেই তাকাই
চারিপাসে শুধু বই খাতার ঝাউবন
আমার বাড়িতে না বাজে কলিং বেল
না মোবইলের টুংটাং রিংটোন
সকাল বিকেল
সমূদ্রে, পাহাড়ে ড়ে থাকে মন
নিজের খুশীতে লিখি
মাঝে মাঝে বুঝি, দেখি
চোখ করে ছলছল বা চকচক

কখন কুকুর, বেড়াল, কাক, শালিক, চড়ুই পাখী
এদের মুড়ি তরকারি দিয়ে ডাকি
আমি পড়ি
তবু এরাই আমার পাঠক
ঘাড়, গলা, লেজ নাড়িয়ে ওরা শোনে
একসাথে সে, একমনে
খোলা জালনা, উঠোন, দরজা দিয়ে করে আসা যাওয়া
সূ্র্য্য, চন্দ্র, তারা, অফুরন্ত হাওয়া
এখনের সাথে আমি, এক অতিতের লেখক



বর্তমান



বর্তমান সত্যস্থান
আছে চলাচল আছে প্রাণ
ভূত ভবিষ্যৎ
মিথ্যা, অষাড়, ভীত, অসৎ

যা দিয়ে জীবন কথা বলে
স্রোতের মত সহজে বয়ে চলে
আছে তা এখনেরি কবলে
বাকি সব শবের মত ঢাকা
অবিকল লেও অচল য়ে থাকা
কলরব হয় নীরব কঠিন আর ফাঁকা

চরাচর থাকে মলীন, ধূসর
যদি না তার সতসহস্র শিরার ভিতর
চলে রক্ত, মুক্ত, নির্ভীক বলীয়ান

রিনরিন, ঝনঝন, ক্ষনে ক্ষন বর্তমান

Tuesday, April 11, 2017

Being with the moon












My mind is brimming with moon tonight
A moaning I sense, without reason
Its light, like a soft cotton pin
Enters, surrounds me
A faint tune
With many brown leaves, falls
I am placed, flat on the muddy welcoming seat
The mourning plays, without meaning
A mesmerizing rhythm echoes in my beating heart,
I wonder if she’s with me
Meandering around, in delight
Perhaps this, I felt before, my body is lying I cannot lift
From this flowing silver grass
I cannot shift
If it’s boon or curse
Who knows, who cares
Who wants to keep a track
The moon smiles at me, I smile back


Friday, April 7, 2017

Tailor writerr


I write poems,
I can do nothing else.

I cut, add and thread those lying linen lines
so it looks all smart, sometimes divine.
Flat on the ground,
or anywhere around, I try
to measure the meters,
It irks me when I err;
For then, I’d need to do it again;
At times, I feel helpless,
For ideas and style
I look at the meadows and the sky.

Like a tailor, I stitch clothes of words
I write stories of my universe.
My needle is sharp, but also soft
I write tales of how we can gain
from what we have lost.

The gowns and the shirts
have magic wings and legs,
with them on, in pants and skirts
yes you can flirt,
not a bit of bother
even beyond the border
if you fasten your belts!
But they’re always made to order,
never readymade.

My texts hem from your mind
Loose or tight, they’re designed
To rock, you could walk or fly with thrills
To the oceans and the hills
At ease, without edgy peeping pins
Or those proudly peeking,
phony pocket pens.


However if I err
A little here and there
I do it free of cost
without feeling lost,
all over again
not a bit of grr...
for I write poems,
I can do nothing else.

Tuesday, April 4, 2017

তুমি আছ আমি জানি

ঊর্দ্ধগামি কবিতার ভাবধারা

ভাষার জন্মকাল থেকেই আমরা তাকে অনেক রকম ব্যাকরণের নিয়মে বন্ধ ক’রে রেখেছি । এমন কি তার গতিপথও নিয়ন্ত্রিত। কিছু ভাষা বাঁদিক থেকে ডানদিকে চলে, কিছু ডানদিক থেকে বাঁদিক; শুধু তাই নয়, পৃথিবীর সমস্ত ভাষাকেই আমরা মধ্যাকর্ষনের নিয়মে নিম্নগামী ক’রে রেখেছি, একটু থেমে আমরা কবিতার দিকে চোখ রাখলে বুঝতে পারব যে কবিতা যখন মনের মধ্যে জন্ম নেয়, তখন কিন্তু সে কোন গতিবিধীর ধার ধারে না, জন্মান’র পরও তাকে পাঠ ক’রে পাঠকের মনে বেশিরভাগ সময়েই একটা ট্রান্সেন্ডেন্টাল অনুভূতি (লীপ) লক্ষ করা যায়। তাই যদি হবে, তাহলে কেন আমরা তাকে গঠনগত দিক থেকেও ঊর্দ্ধগামী হ’তে দিচ্ছিনা। এটাকি আমাদের ‘তাসের দেশ’ এর ‘চল নিয়ম মতে’র কথাই মনে করিয়ে দেয়না?

এই তথাকথিত চিরাচরিত অসংখ্য নিয়মজালে আবদ্ধ কবিতাকে একটি নিয়মের থেকে উন্মুক্ত করার এক স্নেহশিল প্রতিবাদ, এক বিনম্র প্রচেষ্টা।

আগ্রহী পাঠক ‘তুমি আছ আমি জনি’ এই কিতাটি নীচের পংক্তি থেকেও পাঠ শুরু ক’রে, উপরের পংক্তিতে গিয়ে পাঠ শেষ করতে পারেন।

পাঠের সুবিধার জন্য কবিতাটি দুবার লেখা হ’ল, একবার প্রথম লাইন থেকে শেষ লাইন অবধি আর একবার শেষের লাইন থেকে প্রথম লাইন অবধি; গঠনগত দিক থেকে তাই একে ঊর্দ্ধগামি কবিতা বলা হল।

আনন্দম্
সুপ্রতীক সেন



তুমি আছ আমি জানি

আজ মুহূর্ত মিলনের
এই অবকাশ, আমাদের
অপূর্ব আকাশ
ঠিক তোমার মতন
মাতোয়ারা, সুন্দর
কালের লিখন, লিখেছে যত ততই হয়েছে নূতন
মিষ্টি বৃষ্টির ছাঁট সতেজ মাটির ওপর
সমুদ্র থেকে চোখের পলকে উঠে আসা জল
অসীম নিল পাতায় দেয়, সাদা মেঘের আঁচড়
গুরু গুরু অদৃষ্ট, তোমারি উপস্থিতি
ভালবাসার আভাস আসে ভালবাসার প্রতি
বাতাসে আজ মৃদু চন্চলতা
হারাতে দেয় না তোমায়, আমার জ্বলজ্বলে নিষ্পাপ স্মৃতি
তুমি আছ আমি জানি
মিলন মন্দিরে তাই তোমার স্থান বিরহকে অহরহ ম্লান রে রাখে
সহবাস করে এই গুনগুন মনে
বর্ষা গরম বসন্ত
অক্লেশে তারা একসাথে চোখ মেলে, এই আকাশে
সূর্য চাঁদ পশ্চিম পূর্ব অধঃ ঊর্ধ
এই দিগন্তহীন অন্তরে ফুটে চলেছে উদয়াস্ত, অপরিসীম
কাশফুল কৃষ্ণচূড়া একে অন্যের পর
নির্ভয়ে নির্ভর, জড়িয়ে আছে পরস্পর
মাতোয়ারা সুন্দর
ঠিক তোমার মতন
অপূর্ব আকাশ
এই অবকাশ, আমাদের
আজ মুহূর্ত মিলনের



তুমি আছ আমি জানি

আজ মুহূর্ত মিলনের
এই অবকাশ, আমাদের
অপূর্ব আকাশ
ঠিক তোমার মতন
মাতোয়ারা সুন্দর
নির্ভয়ে নির্ভর, জড়িয়ে আছে পরস্পর
কাশফুল কৃষ্ণচূড়া একে অন্যের পর
এই দিগন্তহীন অন্তরে ফুটে চলেছে উদয়াস্ত, অপরিসীম
সূর্য চাঁদ পশ্চিম পূর্ব অধঃ ঊর্ধ
অক্লেশে তারা একসাথে চোখ মেলে, এই আকাশে
বর্ষা গরম বসন্ত
সহবাস করে এই গুনগুন মনে
মিলন মন্দিরে তাই তোমার স্থান বিরহকে অহরহ ম্লান রে রাখে
তুমি আছ আমি জানি
হারাতে দেয় না তোমায়, আমার জ্বলজ্বলে নিষ্পাপ স্মৃতি
বাতাসে আজ মৃদু চন্চলতা
ভালবাসার আভাস আসে ভালবাসার প্রতি
গুরু গুরু অদৃষ্ট, তোমারি উপস্থিতি
অসীম নিল পাতায় দেয়, সাদা মেঘের আঁচড়
সমুদ্র থেকে চোখের পলকে উঠে আসা জল
মিষ্টি বৃষ্টির ছাঁট সতেজ মাটির ওপর
কালের লিখন, লিখেছে যত ততই হয়েছে নূতন
মাতোয়ারা, সুন্দর
ঠিক তোমার মতন
অপূর্ব আকাশ
এই অবকাশ, আমাদের
আজ মুহূর্ত মিলনের