গতকাল-এর কথা।
আজ, তুমি বৃথাই এলে!
আসবে তোমার গাথা
কাল মনের কোণে,
তুমি চলে গেলে।
A space where eco-socio-political views are shared with love, compassion. Peace, above everything else.
ইএমআই
মাস জুড়ে ই এম আই
করে শুধু খাই খাই,
আয় করা টাকা-কড়ি
ফাঁকা হয় তাড়াতাড়ি,
পকেট গড়ের মাঠ হয়।
ইনকাম অনেক তবু
মনে হয় ভারি কম
লোভি ভিখারির শ্রম
সাতদিনে ফেলে দম
গিলে নেয় আধ মাসে
আছে যত ক্রেডিটারস
ডট কম।
জিনিষ-এর জঙ্গলে
বুলি শুধু আরও চাই,
আটকানো সকলেই
চাহিদার বেড়াজালে
ই এম আই গুলি করে
সঞ্চয় মাঠে মারা যায়।
একটা কিছু কাজ
শুরু হলো কি না হলো,
লোকেরা ঝগড়া করে
বসে রইলো। আওয়াজ,
চিৎকার-এর মাঝে কাজ-টা
হয় শিকেয় উঠলো,
নয়ত ভেস্তে গেলো।
সারা ভুবন জুড়ে এই
চলেছে, ভালো কিছু
প্রচেষ্টা আরম্ভ হতে
না হতেই ইগোর হাতে
প্রাণ হারাচ্ছে। এই
দমবন্ধ
হাঁপানিতে পৃথিবী
অসুস্থ।
বাড়িতে, পাড়ায়, দেশে
বিদেশে এক-ই ধ্বংসে
মেতে উঠেছে উন্মত্ত
মঞ্চ,
আজ গরল বেশরম আকাশে,
বাতাসে ত্রাস, নেই কোন বিশ্বাস,
নেই সরল মনোরম
রোমাঞ্চ।
সুন্দর প্রকৃতি আজ
বিধ্বস্ত,
দিকে দিকে শুধু এক
সুর,
ঝগড়া আর ঝগড়া,
কোন ভূমিকম্প, কোন বন্যা,
কোনও মহামারী-র ঝড়,
কোনও দুর্ভিক্ষ, পারেনি
বদলাতে এ মূর্খ
রগড়।
ইতিহাসের বিষের
দশায়
সারা বিশ্বে হাহাকার,
নীলকন্ঠ তোমার আশায়
বসে আছে দেখ আবার
এ ঝগরুটে সংসার,
লোভী এরা সবাই, তবু
অমৃত-বিলাসী নগরবাসী
তারা, ঝগড়া করে
শান্তি চায়,
এ হেন সুরাসম হলাহল
তুমি
পান করে মোচন কর
অন্ধকার, তোমার
কণ্ঠে নাও পুনরায়
সবার পাপ-এর দায়ভার।
হে সর্বপাপহারিণী সরস্বতী
দিনে রাতে করি তোমার স্তুতি
ও গো সারদা, ও গো দেবী ভারতী,
তোমার অসীম আলোর জ্যোতি,
ফেরাক মোদের মতি, গতি
আনুক ধরায় শান্তি, স্থিতি
হে সর্বসিদ্ধিপ্রদায়িনী,
শুচিস্মিতা,
বীণাপাণি।
তোমার জ্ঞানে, তোমার গুণে
তোমার শিক্ষা, তোমার গানে
সতেজ হোক না আগের মত
মোদের সবল মন,
অর্থ, বিদ্যা, কর্ম নকল
জলাঞ্জলি দিয়ে আসল
শিক্ষার-ই সেই
অঞ্জলিতে
ভরুক আবার আনন্দেতে
মোদের এ ভুবন।
তোমার স্নেহে উঠুক
হেসে
বিপন্ন জীবন,
মহামারী-র বিষাদে সে
ভীত সারাক্ষণ।
তোমার জ্ঞানের রসে
বাঁচুক সকল সরল
প্রাণ,
তোমার বীণার সুরে
বাজুক
জীবনের-ই গান।
হে সর্বপাপহারিণী সরস্বতী
দিনে রাতে করি তোমার স্তুতি
ও গো সারদা, ও গো দেবী ভারতী,
তোমার অসীম আলোর জ্যোতি,
ফেরাক মোদের মতি, গতি
আনুক ধরায় শান্তি, স্থিতি
হে সর্বসিদ্ধিপ্রদায়িনী,
শুচিস্মিতা, বীণাপাণি।
তোমার অমন রূপের ছটাক
দেখে মজল মন আমার
ও মা, মজল মন আমার।
আলোর মাঝে তোমায় দেখি
কখনও পিতা, সখা তুমি
নানান সাজে নানান বেশে
নাও যে ডেকে ভালবেসে
কোলেতে তোমার।
তোমার অমন রূপের ছটাক
দেখে মজল মন আমার
ও মা, মজল মন আমার।
আমার আঁধার করা দুঃখ যত
দংশে বিষধর-এর মত
সারিয়ে তোলো অবিরত
আমার ওপর ঝরলো
তোমার করুনা অপার।
তোমার অমন রূপের ছটাক
দেখে মজল মন আমার
ও মা, মজল মন আমার।
মনের যত বিকারগুলো
বিচার হয়ে জালাচ্ছিল
যাদু-র ছোঁয়ায় নিবে গিয়ে
এক নিমেষে উধাও হলো
এ কি অসীম চমৎকার।
তোমার অমন রূপের ছটাক
দেখে মজল মন আমার
ও মা, মজল মন আমার।
রাত-ভোর খালি শুধু
হাবিজাবি কথা,
ফরোয়ার্ড করে যাওয়া
হিজিবিজি লেখা।
বাড়িতেই সেজেগুজে
রয়েছে সমাজ,
টিভি আর মোবাইলে
পড়াশোনা, কাজ।
তাসের দেশের মত
যত নীতি, আইন
আদান-প্রদান শত
চলে অনলাইন।
খোলা আকাশের নিচে
ফের কবে যাব
ঝালমুড়ি, ভেলপুরি
রাস্তায় খাব।
নির্ভয় হয়ে কবে
মেলাব যে হাত
আনন্দে উৎসবে
ভাবি দিনরাত।
মুখ থেকে মাস্ক খসে
যেন শিগগিরই
খোলামেলা নিঃশ্বাসে
জোর সব্বার-ই।
রাক্ষস ভাইরাস
খেল কত প্রাণ
মানুষের বিশ্বাস
হলো খান খান।
ডাক্তার সেবিকার
সদয় সেবায়
মানুষের আশ্বাস
এলো পুনরায়।
ঘুচে যাবে কষ্টের
যত বনবাস,
হবে ফের পৃথিবীর
বুকে বসবাস।
নতুন ঊষা তে হবে
সবারই মিলন,
উষ্ণ আলিঙ্গনে
ভরবে জীবন ।
মন পবিত্র, তন পবিত্র
পবিত্র আহার পান
বাহির পবিত্র, অন্তর পবিত্র
পবিত্র সকল স্থান।
চিন্তা পবিত্র দেহ পবিত্র
পবিত্র দেহের বাস
পবিত্রতা-র গুণের জোরে
বিক্রমের হয় নাশ।
দুঃখ অপমানের ফাঁদে
ফেঁসেছিল জীবন,
আজ তার-ই জন্যে তোমায়
পেলাম, মদন-মোহন।
আবার যদি কেউ আমাকে
গালমন্দ করে, বুঝব আমায়
নিচ্ছ কাছে ডেকে চুপিসারে
যাতে ক'রে চিনতে পারি
সত্যি আমি কে।
তোমায় পাওয়া সহজ হলেও
কঠিন এ দায়ভার
পবিত্রতার অভ্যেস তাই
চালিয়ে যাওয়াই সার।
ঠাকুরে মতি, ঠাকুরে প্রীতি
অটুট থাকুক দিবা-রাতি
ঠাকুর স্থিতি, ঠাকুর-ই গতি
তাতেই শুরু, তাতেই ইতি
তার-ই কথা, তার-ই স্তুতি
অহর্নিশি করাই শুধু সার।
তার ভালবাসার জ্ঞানের জ্যোতি
ঠিকরে যখন পড়বে চারিধার
সেই আলোর স্রোতে ভাঙবে তোমার
আঁকড়ে থাকা মিথ্যে অহংকার।
আছড়ে পড়া ঢেউ-এর বেগে
উঠবে তুমি হঠাৎ জেগে
ঘুচবে যত আঁধার অন্ধকার,
সেই সমুদ্দুরে ভেসেই তবে
জীবন-নৌকা মুক্তি পাবে
মাঝি-র সাজে এসে ভবে
ঠাকুর তোমার করবে পারাপার।
তাই
ঠাকুর স্থিতি, ঠাকুর-ই গতি
তাতেই শুরু, তাতেই ইতি
তার-ই কথা, তার-ই স্তুতি
অহর্নিশি করাই শুধু সার।